Job Vacancy

জনগণনার জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মী নেওয়া হচ্ছে! নিয়োগের শুরুতেই বেতন ৩৫,০০০ টাকা।

প্রায় ১৫ বছর পর আবার ভারতে হতে চলেছে জাতীয় জনগণনা, এবার একেবারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। দেশের প্রতিটি গ্রাম-শহরকে অন্তর্ভুক্ত করে তৈরি হবে জিও-ট্যাগযুক্ত মানচিত্র, যার জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হবে। এই ঐতিহাসিক উদ্যোগে অংশ নিতে উচ্চমাধ্যমিক পাশ চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন, মাসিক বেতন হতে পারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

প্রায় ১৫ বছর পর আবারো ভারতে হতে চলেছে জাতীয় জনগণনা (Census)। সাধারণত প্রতি ১০ বছরে একবার করে জনগণনা করার নিয়ম রয়েছে এই দেশে। কোনরকম লিখিত নিয়ম না থাকলেও এই পদ্ধতি মেনেই প্রতি ১০ বছর অন্তর দেশের জনসংখ্যা গণনা করা হয়। সেই নিয়ম অনুসারে ২০২১ সালেই জনগণনা হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু করোনা অতিমারির প্রভাবে সেই জনগণনা আটকে যায়। তবে এবারে ২০২৫ সালে নতুন উদ্যোগের সাথে আবারো জনগণনা হতে চলেছে। শুধু যে জনগণনা হবে তাই নয়, এই ১৪-১৫ বছরে দেশের বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেই কারণে জনগণনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগের একটি খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে নিখুঁত তথ্য সংগ্রহ এবং সমগ্র দেশের প্রতিটি গ্রাম প্রতিটি শহরের নির্ভুল মানচিত্র তৈরির জন্য এই নিয়োগটি করা হবে। আজকের প্রতিবেদন থেকে জনগণনা এবং তার নিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়গুলি বিস্তারিত জেনে নিন।

প্রায় ১৫ বছর পর দেশে আবার জনগণনা

বর্তমান ডিজিটাল যুগে সমগ্র ভারতবর্ষের প্রতিটি গ্রাম এবং প্রতিটি শহরকে একত্রিত করে জনগণনার বিষয়টির উপর নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি জায়গার নির্ভুল মানচিত্র তৈরি হবে এই জনগণনার সময়। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনলাইন পদ্ধতিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

সমগ্র দেশ জুড়ে প্রায় ছয় লক্ষ ডিজিটাল ম্যাপ (Digital Map) তৈরি করা হচ্ছে। যাতে দেশের এক একটা গলিতে অবস্থিত প্রত্যেকটি বাড়ির জনগণনা সম্ভব হয়। এই কাজের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হবে। এমনকি তাদের মাসিক পারিশ্রমিক হবে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে।

জনগণনার জন্য কর্মী নিয়োগ

দেশে প্রথমবারের জন্য অনলাইন মাধ্যমে জনগণনা হতে চলেছে। এই কারণে বিশেষ প্রশিক্ষণ (Training) চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অনলাইন জনগণনার পদ্ধতিটি এখনো পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকদের কাছে অপরিচিত। সেই কারণে যারা অনলাইনে জনগণনা করবেন, তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে জনগণনার কাজ করতে হবে। এই অ্যাপের মধ্যে প্রতিটি বাড়ি ও বাসিন্দার তথ্য জিও ট্যাগ (Geo Tag) করে আপলোড করতে হবে। এর পাশাপাশি দেশে প্রথমবারের মতো জনগণনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে Geospatial Technology। এর জন্য জনগণনা চলাকালীন পার্ট টাইম (Part Time) হিসাবে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে।

কর্মী নিয়োগের যোগ্যতা

১) ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জনগণনার জন্য চাকরি প্রার্থীদের যোগ্যতার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাশ চাকরি প্রার্থীরা আবেদন জানাতে পারবেন।

২) এর পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীকে কম্পিউটার বা মোবাইল চালানোর দক্ষতা রাখতে হবে।

৩) যদিও এক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, সরকারি কর্মচারী, পঞ্চায়েত বা পৌরসভার সঙ্গে যুক্ত কর্মী কিংবা শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকেই জনগণনার প্রথম ধাপ অর্থাৎ হাউস লিস্টিং অপারেশন (House Listing Operation) শুরু হবে। এরপর থেকে মোটামুটি জনগণনার কাজ গোটা ২০২৬ সাল জুড়ে চলবে। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণনার মূলধাপ অর্থাৎ ব্যক্তিগত তথ্য এবং জাত সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সব মিলিয়ে ২০২৭ সালের মার্চ মাসেই জনগণনা শেষ হবে এবং এর ফলাফল প্রকাশিত হবে।

Read More:

Miss Basu

সৃষ্টি বসু! WB Tathya সাইটের কন্টেন্ট রাইটার। বিগত ৬ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট লিখছেন। বারাসাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস নিয়ে স্নাতক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button