সরকারি স্কিল প্রশিক্ষন, প্রতিমাসে স্টাইপেন্ড ও চাকরি! শুধু 10th পাশে, ছেলে/মেয়ে সবার জন্য।
রাজ্যের বহু বেকার ছেলেমেয়ের জন্য এটি দারুণ সুযোগ—কেন্দ্র সরকারের স্কিল ইন্ডিয়া ইন্টার্নশিপে বিনামূল্যে অনলাইন বা অফলাইনে ট্রেনিং নিয়ে তারা পেতে পারে সার্টিফিকেট, স্টাইপেন্ড, এমনকি জব প্লেসমেন্টও। মাধ্যমিক পাস করলেই আবেদনযোগ্য।

রাজ্যের বেকার ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে কেন্দ্র সরকার নতুন একটা স্কিম বা ইন্টার্নশিপ চালু করেছে। এই ইন্টার্নশিপ করানো হয় স্কিল ইন্ডিয়ার (Skill India) পক্ষ থেকে। এখানে প্রচুর স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কোর্স রয়েছে। যা অনলাইন বা অফলাইন দুইভাবেই করানো হয়।
এই কোর্স শেষে সার্টিফিকেট, স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়, থাকা খাওার ব্যবস্থাও থাকে, জব প্লেসমেন্টও দেওয়া হয়। যদি ফিজিক্যাল ট্রেনিং নিতে না চাও তাহলে অনলাইনেও ট্রেনিং নিতে পারো। অনলাইনে তুমি বাড়ি বসে এই প্রশিক্ষনটা করতে পারো। অফলাইনে এই ট্রেনিংগুলো প্রত্যেকটা শহরে দেয়া হয়।
এইখানে প্র্যাক্টিক্যাল স্কিলস, যেমন- ইলেকট্রিশিয়ান ট্রেনিং, এসি ফ্রিজ মেকানিক ট্রেনিং, বিউটিশিয়ান ট্রেনিং থেকে শুরু করে, অনলাইনে কন্টেন্ট রাইটিং এই সমস্ত বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। মাধ্যমিক পাস করে থাকলে যেকোনো কোর্সে এডমিশন নিতে পারবে। ছেলে/মেয়ে জেনারেল, SC, ST সবার জন্য সমান সুযোগ।
এবার এই ট্রেনিং এর আমি কিছু সুবিধা বলি। প্রথমে বলব এখানে প্রচুর স্কিলস আছে। এইটা হচ্ছে একটা সরকারি উদ্যোগ। অর্থাৎ গভার্মেন্ট বেকার ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে, তাদেরকে কর্মসংস্থানে সাহায্য করার জন্য বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ চালু করেছে। এই প্রশিক্ষণ ডিরেক্ট গভার্মেন্ট তোমাকে দেবে না।
এখানে গভার্মেন্ট থার্ড পার্টি ইনস্টিটিউট অর্থাৎ থার্ড পার্টি কোন সংস্থার সঙ্গে টাইআপ করেছে। সেই থার্ড পার্টি ইনস্টিটিউট স্টুডেন্টদেরকে ট্রেনিংটা দেবে। অর্থাৎ এখানে গভার্মেন্ট এবং স্টুডেন্টের মাঝখানে থার্ড পার্টি একটা ইন্স্টিটিউট বা থার্ড পার্টি একটা সংস্থা রয়েছে। সেটা কোন অর্গানাইজেশন বা ট্রেনিং সেন্টার বা প্রতিষ্ঠান হতে পারে।
এই সমস্ত সংস্থাই জব প্লেসমেন্ট, সার্টিফিকেট, স্টাইপেন্ড ব্যাপারে সমস্ত কিছু দেখবে। এদের প্রচুর স্কিল ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা একচুয়ালি গিয়ে ট্রেনিং নিতে পারে। যেমন আমরা স্কুল-কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করেছি। সেরকম ভারতবর্ষের যতগুলো রাজ্য আছে, প্রত্যেকটা রাজ্যের বড় বড় শহরে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার আছে।
কিছু কিছু ট্রেনিং সেন্টারে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ট্রেনিং সেন্টারের উপর ডিপেন্ড করছে তারা থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা দেয় কিনা। এই কোর্স চলাকালীন ইউনিফর্ম, বই-খাতা, ব্যাগ, পেন, টুপি এগুলো দেওয়া হয়। নিজের বাড়ির লোকেশনেই আশেপাশেই থাকে এই ট্রেনিং সেন্টারগুলি। খুব বেশি হলে ওই ২০-২৫ কিমির যেকোন একটা স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে।
এই কোর্স কমপ্লিট করার পরে সরকারের তরফ থেকে, স্কিল ইন্ডিয়ার তরফ থেকে একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। সার্টিফিকেটটা দিয়ে তুমি কি কাজ করতে পারো?
১) যে ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং-টা করেছো, সেখান থেকে যদি তোমাকে প্লেসমেন্ট দেওয়া হয়। তাহলে তো খুবই ভালো কথা। আর যদি প্লেসমেন্ট না দেওয়া হয়। তাহলে যেই কোর্সটা তুমি করেছো, তার সার্টিফিকেট নিয়ে যেকোন জবে এপ্লাই করতে পারো। এবং এই সার্টিফিকেটটা সব জায়গায় গ্রান্টেড
২) নিজের ব্যবসা করতে পারো। সেক্ষেত্রে তুমি নিজের এলাকায় বিজনেস করতে পারো। যেমন- কেউ যদি AC, ফ্রিজ মেকানিক কোর্স করে, স্কিল ইন্ডিয়া সার্টিফিকেট পেল। সে কোন জব করলো না। কিন্তু সে নিজের এলাকায় একটা দোকান খুললো।
এরপরে চলে আসবো অনলাইন ট্রেনিং এ। অনলাইন ট্রেনিং এ কি সুবিধা? বাড়িতে বসে যেকোন ইন্টার্নশিপ করতে পারবে। কোথাও যেতে হবে না। এক্ষেত্রেও মাসিক স্টাইপেন্ড দেওয়া হয় একই সার্টিফিকেটও দেওয়া হয় এবং সার্টিফিকেট দিয়ে তুমি জবের জন্য এপ্লাই করতে পারো। অনলাইন অফলাইন যেই ট্রেনিং-ই করো না কেন, সার্টিফিকেট পাবেই এবং তার সঙ্গে নিজের বিজনেস বা জবের জন্য যেকোনো এপ্লাই করতে পারো।
Read More: