বেকারত্ব যেখানে সারা দেশ জুড়ে হাহাকার ছড়িয়ে দিচ্ছে, সেখানেই পশ্চিমবঙ্গে এবার তথ্যপ্রযুক্তি (IT) -র ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে। কলকাতার নিউটাউনেই গড়ে উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্র (IT Hub)। দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ আইটি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা TCS এর উদ্যোগে এবার গড়ে উঠতে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তির ক্যাম্পাস। পশ্চিমবঙ্গ এবং তার বাইরে থেকে ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চলেছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং টাটার উদ্যোগে এবার রাজ্যের বেকারত্বের হার বিপুল পরিমাণে কমবে বলে আশা করছেন অনেকেই। এর মূলে রয়েছে কলকাতার নিউটাউনে অবস্থিত টাটা কনসালটেন্সি লিমিটেড (TCS)। যেখানে অবস্থিত তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। কীভাবে এই সুযোগ পাবেন চাকরি প্রার্থীরা? কবে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে? সমস্ত তথ্যই মিলবে আজকের প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নিউটাউনে অবস্থিত বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব এর মধ্যে ২০ একর জমিতে এই তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র বা ক্যাম্পাস গড়ে উঠতে চলেছে। ইতি মধ্যেই এই জমির অধিকার নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি দিয়ে দিয়েছে TCS কে। কোন অজানা সূত্রে নয়, বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই প্রজেক্ট এর কথা উল্লেখ করেছেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তার এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ ধাপ গুলি উল্লেখ করেছেন।
কোন কোন ধাপে গড়ে উঠবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাম্পাস?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দুইটি ধাপের মাধ্যমে এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে মোট এলাকার মধ্যে থেকে প্রায় ৯ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে ১১ তলা অফিস নির্মাণ করা হবে। এর ফলে ওই অফিসের ৫০০০ যুবক যুবতী কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৫ লক্ষ বর্গফুট এলাকায় এই প্রজেক্টকে বাড়ানো হবে। এর ফলে আরো ২০ হাজার যুবক-যুবতী নতুন করে চাকরি পাবেন বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিলিয়ে মোট ২৪ লক্ষ বর্গফুটের এই এলাকায় ২৫ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ সম্ভব হবে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নিউটাউন এবং তার সংলগ্ন এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিগত তিন বছরে ৩০টি তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রজেক্ট এর জন্য ৬.৫ লক্ষ বর্গমিটার জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যে এই তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের জন্য বিগত তিন বছর ধরেই একাধিক ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তবে এবারে সেই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের পথে।
মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, যারা ধারাবাহিকভাবে বাংলাকে অপমান করে আসতো এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদেরকে তাচ্ছিল্যের নজরে দেখত ও নিচু করার চেষ্টা করত, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।
Read More: