Free Mobile Repairing Course: ফ্রি মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স করে চাকরি! মাধ্যমিক পাশে, সরকারি ও প্রাইভেট প্রশিক্ষন।
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে মোবাইল রিপেয়ারিং-এর চাহিদা। মোবাইল রিপেয়ারিং শিখে (Free Mobile Repairing Course) কেউ হতে পারেন দক্ষ টেকনিশিয়ান, আবার কেউ খুলতে পারেন নিজের দোকান...

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে মোবাইল রিপেয়ারিং-এর চাহিদা। মোবাইল রিপেয়ারিং শিখে (Free Mobile Repairing Course) কেউ হতে পারেন দক্ষ টেকনিশিয়ান, আবার কেউ খুলতে পারেন নিজের দোকান। বর্তমানে অনেক যুবক যুবতী এই মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স শিখে নিয়ে নিজেদের জীবনের উন্নতি করছেন এবং স্বল্প শিক্ষাগত যোগ্যতাতেও প্রচুর পরিমাণে রোজগার করতে সক্ষম হচ্ছেন।
মোবাইল রিপেয়ারিং বা মোবাইল সারানোর এই শিক্ষা (Free Mobile Repairing Course) -র জন্য অনলাইন ও অফলাইন, দুই ধরনের কোর্সই পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি সব সময় যে টাকা খরচ করেই মোবাইল সরানো শিখতে হবে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়।
বর্তমানে এমন অনেক সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ের মাধ্যমেই নন-পেইড অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মোবাইল সরানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই সমস্ত প্রশিক্ষণের সুযোগ সুবিধা এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়ে জীবিকার সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আজকের প্রতিবেদনে।
Free Mobile Repairing Course
বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি একাধিক সংস্থার তরফে অনলাইন এবং অফলাইনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মোবাইল রিপেয়ারিং বা মোবাইল সারানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনের আমরা বিস্তারিতভাবে মোবাইল সারানোর জন্য কোন কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহায়তায় বিভিন্ন কোর্স করা যায়, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
১) সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে Free Mobile Repairing Course:
অনলাইন প্রশিক্ষণ- সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমানে অনলাইনে এবং অফলাইনে উভয়ের মাধ্যমেই মোবাইল রিপেয়ারিং এর কোর্স করানো হয়। অনলাইনে এই কাজ শেখানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের www.skillindiadigital.gov.in -এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করতে পারবেন ইচ্ছুক প্রার্থীরা।
তবে অনলাইনে শেখার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। মূলত অনলাইনে ভিডিও দেখেই যেহেতু এখানে মোবাইল সারানোর সমস্ত কাজ শিখতে হয়, তাই হাতে-কলমে ভুলগুলো সংশোধন করে দেওয়ার কোন উপায় থাকে না। এর জন্যই প্রচুর ছাত্র ছাত্রী অফলাইনে প্রশিক্ষকদের সামনে থেকে মোবাইল সারানোর সমস্ত কাজ শেখায় আগ্রহী হয়ে থাকেন।
অফলাইনে প্রশিক্ষণ- বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে অফলাইনে এলাকা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এসেছো সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই ছাত্রছাত্রীরা আবেদন জানাতে পারেন। এর জন্য রাজ্য সরকারের https://pbssd.gov.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে নিজের জেলার মধ্যে নিজের এলাকায় নিকটবর্তী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
২) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে Free Mobile Repairing Course:
বর্তমানে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল রিপেয়ারিং এর কোর্স করানো হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছুটা পরিমাণ টাকা জমা করতে হয় ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের। তবে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই প্রশিক্ষণের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট হাতে পান প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রী।
আবেদনের যোগ্যতা
১) আবেদনে ইচ্ছুক ছাত্র কিংবা ছাত্রীকে অন্ততপক্ষে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে। আবেদনকারীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা যেকোনো হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কোন সীমা নির্ধারণ করা নেই।
২) অন্ততপক্ষে মাধ্যমিক পাস করলেই চাকরি প্রার্থীরা মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শেখার জন্য আবেদন জানাতে পারেন।
৩) পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে যে কোন রাজ্য থেকেই এই চিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আবেদন জানাতে পারেন যুবক-যুবতীরা।
৪) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের অথবা কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এই প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে।
মোবাইল রিপেয়ারিং শেখার পর জীবিকার সুযোগ
সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের কাজ শেখার পর বর্তমানে কর্মসংস্থানের একাধিক সুযোগ রয়েছে। যার মধ্যে-
- নিজের মোবাইল সার্ভিস সেন্টার খোলা,
- বড় মোবাইল কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান হওয়া,
- ফ্রিল্যান্স মোবাইল রিপেয়ারিং করা,
- অনলাইন/ইউটিউব টিউটোরিয়াল তৈরি করে আয় করা,
- বিভিন্ন ই-কমার্স সার্ভিসিং কোম্পানিতে কাজ করা ইত্যাদি অন্যতম।
এর পাশাপাশি বড় বড় মোবাইল শোরুম কিংবা Amazon, Flipkart এর মতো ই-কমার্স সাইটেও মোবাইল টেকনিশিয়ানদের নিয়োগ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শিখে সরাসরি চাকরির সুযোগও করে দেওয়া হয়।