Trending News

Investment Plans: মাত্র ১০ বছর এই সঞ্চিত অর্থ হবে ১ কোটি টাকা! জানুন SIP নিয়োগের গোপন ফর্মুলা

স্বল্প সময়ের মধ্যেই বহু গুণের অর্থ বৃদ্ধি করে নিজের সম্পদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণ সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিমের থেকে মানুষ বেছে নিচ্ছেন শর্ট কাট পদ্ধতি। এই পদ্ধতি হল মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ...

নিজের রোজগারের অর্থ সঞ্চয় করার এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ করার উপায় হিসেবে মানুষ এখনকার দিনে বেছে নিচ্ছেন মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) এর বিভিন্ন উপায়। স্বল্প সময়ের মধ্যেই বহু গুণের অর্থ বৃদ্ধি করে নিজের সম্পদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণ সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম (Deposit Scheme) এর থেকে মানুষ বেছে নিচ্ছেন শর্ট কাট পদ্ধতি। এই পদ্ধতি হল মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ।

মিউচুয়াল ফান্ডে বা বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার বাজারে (Share MArket) বিনিয়োগ করে অল্প সময়ের মধ্যেই কষ্টার্জিত টাকা বহু গুণে বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব। আর সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার গুলির কাছে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করার বিকল্প না থাকার কারণে তাদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে মিউচুয়াল ফান্ডের SIP সিস্টেম। যেখানে অনেকটা রেকারিং এর মতই টাকা সঞ্চয় করা যায়। এবং মিউচুয়াল ফান্ডের নিয়ম মেনে বহু গুণে রিটার্ন পাওয়া যায় এই বিনিয়োগের (Investment Plans) ক্ষেত্রে। তাহলে চলুন আর বেশি দেরি না করে অল্প সময়ে কিভাবে নিজের রোজগারের টাকাটি ১০ গুণ করে ফেলবেন সেটি জেনে নেওয়া যাক।

Systematic Investment Plans বা SIP

বর্তমানে ভারতীয় স্টক মার্কেট এর ক্ষেত্রে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট বহু পরিমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে রোজগারের পাশাপাশি তার থেকে কিছুটা পরিমাণ অংশ ব্যাংকের রেকর্ডিং এর মতই জমা করে দিতে হয় মিউচুয়াল ফান্ডের আওতায়।

সেই টাকার উপর নির্ভর করে মিউচুয়াল ফান্ডের কিছুটা শতাংশ শেয়ার হিসেবে গ্রাহকের নামে বুক করা হয়। এইভাবেই সেই শেয়ারের দাম যতটা পরিমাণে বাড়বে, আপনার কাছে থাকা টাকার পরিমানও সেই ভাবেই ক্রমাগত বাড়তে থাকবে।

এইভাবেই প্রতি মাসে অল্প পরিমান টাকা জমিয়েই কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হয়ে যাওয়া সম্ভব। সাধারণত মিউচুয়াল ফান্ডের বিভিন্ন স্কিম এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক ১২ থেকে ১৪ শতাংশ হিসাবে গড়ে রিটার্ন পাওয়া যায়।

তবে শেয়ার মার্কেটের ডাউন ফল চলাকালীন এই রিটার্ন অনেকটাই কমে যায়। এবার প্রতিবছর যদি একজন ব্যক্তি SIP এর পরিমাণ নির্দিষ্ট হারে বাড়াতে থাকেন, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই প্রচুর টাকার মালিক হয়ে যেতে পারেন ওই ব্যক্তি।

কীভাবে দশ বছরে ১ কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করবেন?

মিউচুয়াল ফান্ডের এই সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্লান এর মাধ্যমে মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করা সম্ভব। এর জন্য জানতে হবে একটি বিশেষ ফর্মুলা এবং বিনিয়োগের সঠিক নিয়ম। ধরুন, একজন ব্যক্তি একটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে বার্ষিক ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাচ্ছেন।

তাহলে তাকে প্রতিমাসের SIP করতে হবে ৪৩,৫০০ টাকার। অর্থাৎ ১০ বছরে তার মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হবে ৫২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এবারে এই পরিমাণ টাকার উপর চক্রবৃদ্ধি হারে বারো শতাংশ রিটার্ন গণনা করলে, মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই এই টাকার পরিমান গিয়ে দাঁড়াবে ১ কোটি টাকার উপরে।

কিন্তু সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের পক্ষে প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকার SIP করা একেবারেই সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজনে স্টেপ আপ প্রক্রিয়ার সহায়তা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ শুরু করলে প্রতি বছরে অন্ততপক্ষে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ আপনাকে বাড়াতে হবে।

অর্থাৎ প্রথম বছরে ৩০ হাজার টাকা দিলে পরের বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৩৩ হাজার টাকা। এইভাবে বিনিয়োগ করলেও ১০ বছরের ১২ শতাংশ রিটার্ন পেলে আপনার মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হয়ে যাবে এক কোটি টাকার উপরে।

উল্লেখ্য, এটা ঠিকই যে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বহু গুনে বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বা কোন রকমের বিপদকালীন অবস্থায় শেয়ার মার্কেটের দাম ক্রমাগত পড়ে যাতে থাকে। আপনার জমানো টাকার উপর লাভের পরিবর্তে ক্ষতির সম্ভাবনা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। এই সমস্ত রিস্ক পা ঝুঁকি গুলি ভেবেচিন্তে তবেই মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করা উচিত।

Miss Basu

সৃষ্টি বসু! WB Tathya সাইটের কন্টেন্ট রাইটার। বিগত ৬ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট লিখছেন। বারাসাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস নিয়ে স্নাতক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button