ICICI Bank 2 মাসের ফ্রি ইন্টার্নশিপ, ও চাকরি! প্রতিমাসে ১৮,০০০ টাকা স্টাইপেন্ড পাবে।

রাজ্যে যে পরিমাণে বেকারত্ব বাড়ছে এই সময় দাঁড়িয়ে একটা চাকরি ভালো চাকরি পাওয়ার কথা বিশাল বড় দুঃস্বপ্ন। কিন্তু ICICI ব্যাংক একটা পেইড ইন্টার্নশিপ করাচ্ছে। ইন্টার্নশিপ চলাকালীন ১৮,০০০ টাকা প্রতিমাসে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে।
এই ট্রেনিংটা কমপ্লিট হওয়ার পরে এখান থেকে চাকরির সুযোগও করে দিচ্ছে। আজকের এই প্রতিবেদনে ICICI ব্যাংকের এই ইন্টার্নশিপ বা ট্রেনিং নিয়ে ইন ডিটেল আলোচনা করবো। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের যেকোন জেলা থেকে ছেলে ও মেয়ে সবাই এই প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং নিতে পারবে।
প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে এবং অনলাইন নয়
এটি একদম বিনামূল্যে বা ফ্রিতে করানো হবে এবং রাজ্যের বেকার ছেলেমেয়েদের জন্য খুবই বড় একটা খুশির খবর। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, অল ইন্ডিয়াতে এই প্রশিক্ষণ করানো হয় বিভিন্ন সেন্টারে। এটা অফলাইন ট্রেনিং, অনলাইনে বাড়ি বসে করতে পারবে না।
ICICI ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তথ্য
ICICI ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা আছে ICICI Bank Aspire Program। এই প্রোগ্রামের আন্ডারে তোমাদের এই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি Exciting Career Opportunities for Young Graduates and Engineers, অর্থাৎ গ্রাজুয়েট এবং ইঞ্জিনিয়ার ক্যান্ডিডেটদের জন্য।
যোগ্যতা ও আবেদন প্রক্রিয়া
যদি তুমি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করে ফেলেছো, তাহলে এই প্রোগ্রামের জন্য এপ্লাই করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে গ্রাজুয়েট কমপ্লিট না হওয়া ক্যান্ডিডেটরা এপ্লাই করতে পারবে না। এখানে জব লেভেল বলা হয়েছে, এন্ট্রি লেভেল ম্যানেজেরিয়াল অর্থাৎ এন্ট্রি লেভেল জব। এটি ফুল টাইম জব এবং অভিজ্ঞতা ০ থেকে ১ বছরের মধ্যে হলে আবেদন করতে পারবে।
প্রোগ্রামের বিস্তারিত ও এলিজিবিলিটি
প্রোগ্রামটি অল ইন্ডিয়া লেভেলে উপলব্ধ। ইয়ং প্রফেশনালদেরকে সেবা মানসিকতা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এলিজিবিলিটি অনুযায়ী, যেকোন স্বীকৃত বোর্ড থেকে গ্রাজুয়েশন পাস করতে হবে, সেটা পাশ বা অনার্স হতে পারে, বিজ্ঞান, আর্টস বা কমার্স যেকোনো শাখায়। এছাড়া যেকোনো শাখায় ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করলে বা পোস্ট গ্রাজুয়েট/এমবিএ ফ্রেশার হলেও আবেদন করতে পারবে।
মার্কস ও বয়সের যোগ্যত
মাধ্যমিকে এবং গ্রাজুয়েশনে উভয়েই ৬০% মার্কস লাগবে। বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২৫ বছর। আবেদন করার সময় এই বয়স হিসাব করতে হবে।
রোল ও লোকেশন ফ্লেক্সিবিলিটি
অপ্লিকেশন করতে হলে লোকেশনালি মোবাইল হতে হবে এবং সেলস কাজ করার ইচ্ছা থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ সেন্টারগুলোতে যেতে হবে। অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করা যাবে, কিন্তু এক বছরের কম অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে।
প্রশিক্ষণের সময়কাল ও স্টাইপেন্ড
প্রোগ্রামের মেয়াদ দুই মাস ক্লাসরুম ট্রেনিং। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। অর্থাৎ দুই মাসে মোট ৩৬ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড পাওয়া যাবে।
চাকরির সুযোগ ও বেতন
প্রশিক্ষণ শেষে কাজ শুরু করলে স্টার্টিং স্যালারি বছরে ৪.৫ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা, অর্থাৎ মাসে প্রায় ৩৭,৫০০ টাকা। এটি CTC অর্থাৎ হাতে পুরোটা পাবে না, ট্যাক্স ও অন্যান্য কাটা পরেও ৩০,০০০+ টাকা হাতে পাবে।
সিলেকশন প্রসেস
সিলেকশন প্রক্রিয়া দুই ধাপে: প্রথম ধাপে অনলাইন অ্যাপটিউড টেস্ট এবং পাস করলে ফেস টু ফেস ইন্টারভিউ। অনলাইন টেস্টের বিষয়বস্তু: ভার্বাল, কোয়ান্টিটিভ, লোকাল লজিক্যাল এবিলিটি, জেনারেল অ্যাওয়ারনেস এবং ভিডিও বেসড প্রশ্ন।
রোল ও কাজের ধরন
এখানে সেলসের কাজ থাকবে, সুতরাং সেলিং জব টাইপের কাজ করতে হবে এবং সেই মানসিকতা থাকতে হবে। আবেদন করতে গেলে ফোন নম্বর দিয়ে OTP প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।