বাংলা আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তি ৬০০০০ টাকা! জুন মাসে ঢুকবে? আপনি কবে পাবেন? জানুন।
বাংলা আবাস যোজনার টাকা কি জুন মাসেও পাওয়া যাবে? ২০ মে থেকে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে, অনেকেই পেয়েছেন—আপনিও কি পাবেন? আবাস যোজনার এই যে ২য় কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য লিলটন পর্যন্ত আপনাদের কাজ করতে হবে।

বাংলা আবাস যোজনার টাকা দেওয়া প্রায় শেষের পথে। এখন কি জুন মাসে আবাস যোজনার টাকা আর পাওয়া যাবে না? মূলত যারা যারা এই বাংলা আবাস যোজনার টাকা এখনো পর্যন্ত পাননি। তাদের ব্যাংক একাউন্টে কি আর আবাস যোজনার টাকা ঢুকবে না? মে মাসের ২০ তারিখ থেকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
প্রচুর উপভোক্তা ২০ তারিখেই তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পেয়েছেন। কেউ ২০ তারিখে পেয়েছেন, কেউ ২১ মে থেকে ২৮ মে তারিখ পর্যন্তও টাকা পেয়েছেন। আজকের এই আর্টিকেলে জানাব, বাংলা আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির ৬০,০০০/- টাকা কবে পাবেন?
বিভিন্ন জেলার প্রাপ্তির প্রমাণ
বন্ধুরা বিভিন্ন জেলা থেকে মেদিনীপুর থেকে শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলা থেকে বিভিন্ন সাবসক্রাইবার এবং আমাদের ভিউওয়ার টাকা পাওয়ার মেসেজগুলো আমাদের হোয়াটস্যাপে পাঠিয়েছিলেন।
জুন মাসে টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে মে মাসে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন জুন মাস। বর্তমানে এই জুন মাসে কি আবাস যোজনার টাকা উপভোক্তাদের ব্যাংক এককাউন্টে ঢুকবে? নাকি জুন মাসে আর টাকা দেওয়া হবে না? এইরকম প্রশ্ন কিন্তু আপনাদের অনেকের মনেই রয়েছে।
কারণ ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে বাংলা আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির, যে ৬০,০০০/- টাকা দেওয়া হয়েছে সবাই টাকা পাননি। প্রচুর উপভোক্তা এমন রয়েছেন, যারা এখনো পর্যন্ত বাড়ির কাজ কমপ্লিট করে উঠতে পারেননি। আবার কিছু উপভোক্তা রয়েছেন যাদের সবেমাত্র ইনকয়ারি হয়েছে।
পঞ্চায়েতের বক্তব্য ও ইনকোয়ারির অবস্থা
আবাস যোজনার এই যে টাকাটা, জুন মাসে আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে আসবে কিনা? আপনারা চিন্তা করবেন না! এই যে বাংলা আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তি ৬০,০০০/- টাকাটা, এটা কিন্তু জুন মাসে আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে।
আমাদের এলাকায় যে সমস্ত পঞ্চায়েত আধিকারিকরা রয়েছেন, যারা পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন, আমরা কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম যে- আবাস যোজনার, টাকা যাদের যাদের এখনো পর্যন্ত ইনকয়ারি হয়নি, ছবি ওঠেনি, যাদের এখনো পর্যন্ত ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকেনি তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকবে কিনা?
কাজের অগ্রগতি অনুযায়ী টাকা প্রদান
এক্ষেত্রে, স্পষ্ট একটা ধারণা রয়েছে। পঞ্চায়েত আধিকারিক জানাচ্ছেন যে- যাদের যাদের ঘরের ছবি ওঠেনি, যারা দেরিতে টাকা পেয়েছেন। তাদের তো বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তো বাড়ি তৈরি হওয়ার পর, তারা যখন লিলটন দিচ্ছেন তারপরে তাদের আবার ছবি হবে।
তারপরে, দ্বিতীয় কিস্তির টাকাটা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ঢুকবে। এক্ষেত্রে, আবাস যোজনার কিছু উপভোক্তা এমন রয়েছে মোটামুটি ৮ লক্ষ মতো, যারা- যারা লিলটন পর্যন্ত কাজ করেছিলেন তাদের ব্যাংক একাউন্টে আগে টাকা দেয়া হবে।
যারা লিটন পর্যন্ত করেছেন তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকলে, যারা লিটন করেননি বা লিটন পর্যন্ত কাজ করেননি, তারা ওই লিলটন পর্যন্ত কাজ করবেন এবং তারপরে তাদের ব্যাংক এককাউন্টে টাকা দেয়া হবে।
লিলটন পর্যন্ত কাজ করা জরুরি
এর থেকে কিন্তু একটা জিনিস পরিষ্কার। যে আবাস যোজনার এই যে ২য় কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য লিলটন পর্যন্ত আপনাদের কাজ করতে হবে। যারা পরে কাজ করবেন তাদের হয়তো ছবি হবে এবং তারপরে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হবে। তবে হ্যাঁ যাদের মোটামুটি ছবি হয়ে গেছে চিন্তা করবেন না। যারা লিলটন পর্যন্ত গেতেছিলেন বা জানালা পর্যন্ত কাজ করেছেন তাদেরও ব্যাংক একাউন্টে বাংলা আবাস যোজনার টাকা ঢুকে যাবে।
ধাপে ধাপে টাকা আসছে
ইতিমধ্যে প্রচুর উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকে গেছে এবং ধাপে ধাপে টাকা দেয়া হচ্ছে। তো আবারো আপনাদেরকে জানাচ্ছি-
কিছু কিছু উপভোক্তার রয়েছেন যারা এখনো পর্যন্ত আবাস যোজনার কাজ করছেন, পুরোপুরি কমপ্লিট করে উঠতে পারেননি। তাদের ছবিও হয়নি। ওদেরগুলো ছবি হবে, হওয়ার পরে আবারও কিন্তু টাকা দেওয়া হব্
আবার কিছু ব্যক্তি উপভোক্তার যাদের ছবি হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত টাকা ঢোকেনি। তাদেরও ব্যাংক একাউন্টে ধাপে ধাপে টাকা চলে আসবে।
ব্লক ও পঞ্চায়েতভেদে পার্থক্য
একটা বিষয় হচ্ছে প্রত্যেক ব্লকে কিন্তু একসঙ্গে টাকা দেয়া হয় না। ধরুন। আপনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা বা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বাস করেন। আপনার ব্লকে এই মুহূর্তে টাকা ঢুকছে না। কিন্তু পাশের ব্লকে আপনি খবর নিয়ে দেখবেন হয়তো সেখানে টাকা ঢুকেছে।
তো এমনটাও হতে পারে আপনার পঞ্চায়েতে হয়তো এই মুহূর্তে টাকা ঢুকেনি। এক্ষেত্রে দেরি হতে পারে। দুই-একদিন দেরি করবেন চিন্তা করবেন না। বাংলা আবাস যোজনার টাকা মোটামুটি এই জুন মাসেও ঢুকবে।
পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টের হাল
এখন পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে যাদের নাম ছিল। তারাও জানতে চাইছেন যে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট থেকে কি কাউকে টাকা দেয়া হচ্ছে? না এই মুহূর্তে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে যাদের নাম ছিল, তাদেরকে এখন টাকা দেয়া হচ্ছে না।
মূলত ১২ লক্ষ যে উপভোক্তার লিস্টে নাম ছিল তাদেরকে টাকা দেয়া হচ্ছে। আর পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্টে যদি আপনার নাম থাকে, সেক্ষেত্রে- মোটামুটি ডিসেম্বর মাসে একটা কিস্তির টাকা পাবেন। সেটাও কিন্তু খুব শীঘ্রই আপনাদের ব্যাংক একাউন্টে আসতে চলেছে। মোটামুটি ডিসেম্বর মাসটা আসতে দিন। আপনারাও টাকা পাবেন। সেই আপডেটও আপনাদেরকে জানিয়ে দেব।